Operation Twilight March 24, 2018
২৪ মার্চ ২০১৭, দিবাগত রাত। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার 'আতিয়া মহল' নামের একটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। পুলিশের কাছে তথ্য যে, ভেতরে জঙ্গীরা অবস্থান করছে আর তাদের সাথে আছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বিস্ফোরক। তাই অপারেশনে ডাকা হয় পুলিশের বিশেষ দল 'সোয়াট'কে।
সোয়াট এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর প্যারা কমান্ডো দ্বারা উক্ত অভিযান পরিচালনা করার সুপারিশ করে। ঠিক তার পরদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা মাননীয় সরকার প্রধান কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে উক্ত স্থানে এসে অপারেশন পরিচালনার দ্বায়িত্ব নেয়। শুরু হয় প্যারা কমান্ডোর নেতৃত্বে আতিয়া মহলকে জঙ্গী মুক্ত করতে 'অপারেশন টোয়াইলাইট'।
টানা ১১১ ঘণ্টা এই অভিযানে কমান্ডোরা তাদের জীবন বাজি রেখে অভিযান পরিচালনা করেন। ২৫ মার্চ দুপুরে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পাঁচ তলা বাড়িটির প্রতি তলায় ৬টি করে মোট ৩০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২৮টি ফ্ল্যাটে বসবাসকারী ৭৮ জন জিম্মিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে, যাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন মহিলা ও ২১ শিশু ছিল।
প্যারা কমান্ডোদের গুলিতে নিহত হয় চার জঙ্গী, যাদের মধ্যে একজন ছিল গুলশান হামলার অন্যতম 'মাস্টার-মাইন্ড'। চতুর্দিকে জালের মতো আইইডি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আতিয়া মহলকে এরপর কমান্ডোরা বিস্ফোরক-মুক্ত করেন।
অপারেশন টোয়াইলাইট অপ্রচলিত যুদ্ধাভিযানগুলোর মধ্যে অন্যতম দীর্ঘতম ও সফল অভিযান। এ অভিযানে বাংলাদেশের প্যারা কমান্ডোরা তাদের ধৈর্য, মেধা, শ্রম ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনীর মর্যাদাকে আরও বৃদ্ধি করেছেন।
Comentarios: