Operation Chittagong Airport

Operation Chittagong Airport


অপারেশন চিটাগং এয়ারপোর্ট

https://assets.roar.media/assets/3npk2NrUFVVPGdX4_FB_IMG_1576090361084.jpg
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে অভিযানে প্যারা কমান্ডোরা; সূত্রঃ- independent24.com

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টের কন্ট্রোলরুম থেকে ভেসে আসতে থাকে লাল সংকেত। মাইকে ঘোষণা হতে থাকে, "ময়ূরপঙ্ক্ষী এয়ারক্রাফট হ্যাজ বিন হাইজ্যাকড"।

বিমানটি জরুরি অবতরণ করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। বিএএফ ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড়ে আসে বিমান বাহিনীর বিশেষ দল। বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে বিমান বাহিনীর সদস্যরা ছিনতাইকারীর সাথে কথা বলতে থাকেন।

এরই মধ্যে চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস. এম. মতিউর রহমান। তিনি এসেই উক্ত অভিযানের কমান্ড গ্রহণ করেন। চট্টগ্রামের বিএনএস ঈসা খাঁ-তে তখন সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোরা নৌবাহিনীর সাথে অন্য একটি মহড়ায় ব্যস্ত ছিল। সেখান থেকে দ্রুততম সময়ের মাঝেই তারা সেখানে এসে পৌঁছান।

শুরু হয় বিমান ছিনতাইকারীর  বিরুদ্ধে অভিযান। উক্ত অভিযান শুরুর প্রাক মুহুর্তে সকল যাত্রীকে বিমানের জরুরি দরজা দিয়ে বের করে আনা হয়। কমান্ডো অভিযান শুরুর মাত্র আট মিনিটের মাথায় কমান্ডোদের গুলিতে ছিনতাইকারী প্রথমে আহত হয় এবং পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করে। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

সামরিক অভিযান পরিচালনায় বিশেষভাবে পারদর্শী বাংলাদেশের এই কমান্ডোরা সারা বছরই বিভিন্ন মহড়ায় নিজেদের নিয়োজিত রাখেন। প্রচলিত ও অপ্রচলিত যুদ্ধের সব রকম হুমকি মোকাবেলা করে দেশকে সদা নিরাপদ রাখতে তাঁরা প্রস্তুত।