গল্পটি পড়ুন ।চোখের পানি ধরে
রাখতে পারবেন না।
গল্প:- সেনাবাহিনীর চাকরি নিয়ে
একজন ছেলের আত্মকাহিনী
🙇 আমি জাহিদুল ইসলাম।বয়স ১৮।
জীবনের সবচেয়ে বড় আশা সেনাবাহিনী হবো
।দেশের জন্য কিছু করবো।দেশের জন্য
জিবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবো।সেই
লক্ষে গিয়েছিলাম সেনাবাহিনির মাঠে ।
সব লোকের কাছে শুনি
সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে
কোনো ঘোষ দিতে হয় না।
মাঠে প্রবেশের পর আমাদের সকলকে
লাইনে দাড় করানো হলো।সামনে
সেনাবাহিনী মেজর স্যার বসে
ছিলেন।
মেজর:- আমি জানি এখানে শতকরা
৮০% লোক দালালকে টাকা দিয়ে
এসেছো।কিন্তু আমি তাদের একজনকেও
নিবো না।
মেজর স্যারের কথাটা শুনে খুবই ভালো
লাগলো।মনে সাহস হলো। আমি
উচ্চতা,দৌড় প্রতিযোগিতাতে খুব
ভালোভাবেই টিকে গেলাম।
মনে হচ্ছিলো চাকরিটা হবে।
আমি বাবার কষ্টকে লাঘব করতে পারবো।
আমি চাকরিটা পেলে বাবাকে আর
দিনমজুরের প্ররিশ্রম করতে হবে না।
মাকে গিয়ে জরিয়ে ধরে বলবো,মা
তোমার ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি করে।দেশের জন্য কিছু করতে পারবে।কিন্তু তখনও মেডিকেল বাকি ছিলো।আমি নিজের শরির সম্পর্কে
ভালোভাবে জানতাম।কোনো
অসুখ,রোগ ছিলোনা।
মেডিকেলে ঢুকার আগ মুহুর্তে মেজর
স্যারের কাছে কয়েকটা ফোন আসছিল।
দেখলাম কথা বলতেছে।তারপর কয়েকজন
মেডিকেল অফিস্যারদের ডেকে
নিয়ে মেজর স্যার কি যেনো
বলছিলো।
মেডিকেল অফিসার এসে কয়েকজনের
রোল বলে তাদেরকে নিয়ে আলাদা
রাখলো।
মেডিকেলের সময় একে একে আমার পালা এলো আমাকে চেক করছিলো।কিন্তু একজন অফিসার বললো,
অফিসার:-ঐ তুই আর্মি
কাটিং(চুল) দিছোস কেন?
আমি:- স্যার ,আমি সেনাবাহিনী হতে
চাই।
অফিস্যার:- সেনাবাহিনী হতে
চাস,তো বাবা,মামা,খালু,
জেঠা,কাকা কেউ সেনাবাহিনীর
চাকরি করে?
আমি:- না স্যার।
অফিসার:-কোনো সরকারি চাকরি
করে কেউ?
আমি:- না স্যার।
অফিসার:- বাবা,দাদা মুক্তিযোদ্ধা?
আমি:- না স্যার।
অফিসার:- শালা,কেউ সরকারি
চাকরিই করেনা ,অথচ আসছে
সেনাবাহিনী চাকরি করতে ।চুলের
কাটিং ঠিক মতো দিয়ে আসিস পরের
মাঠে।ঐখানে গিয়ে বসে থাক ।
বিরানি খেয়ে ২টায় চলে যাবি।
আমি তখনই বুজলাম যে আমার চাকরিটা
হচ্ছে না।ওরা আগে থেকেই লোক
নিয়ে রেখেছিলো।যারা টাকা
দিতে পারছে তাদের চাকরি হইছে।
আমার চাকরি না হওয়ার কারন চুলের
কাটিং না ।আমার চাকরিটা না
হওয়ার কারনটা কি জানেন,আমার
টাকা নাই।বাবা দিনমজুর।১০ লাখ
টাকা কই পাবে।আমার বাবা,দাদা
মুক্তিযোদ্ধা না।তারা সরকারি
চাকরি করেনা।
আমাদের বংশে সেনাবাহিনী চাকরি জীবি লোক
নেই।আপনারাই বলেন এটা কি আমার দোষ।
২ টার সময় বিরানি দিলো।তা একেবারে ফ্রিতে না ,আমাদের কাছ থেকে ২০ টাকা করেনিয়ে তারপর
দিলো। খাবারটা খেলাম আর
ভাবলাম,আজ যদি আমার বাবা একজন
সরকারি অফিসার হতো,বাবার লাখ
লাখ টাকা থাকতো,দাদা
মুক্তিযোদ্ধা থাকতো তাহলে আমার
চোখের পানি আজ এইভাবে পড়তোনা।
আমাকে লাইনেও দাড়াতে হতো
না,না হতো কোনো মেডিকেল করতে।
সবার আগে আমার চাকরি হতো।
ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখের
পানিতে খাবার ভিজে
গিয়েছিলো তার খেয়ালই ছিলো না।
এভাবেই হয়তো হাজারো ছেলের স্বপ্ন টা স্বপ্নই থেকে যায় তা কখন আর বাস্তবে রুপান্তর হয় না।
.....................সমাপ্ত........................
রাখতে পারবেন না।
গল্প:- সেনাবাহিনীর চাকরি নিয়ে
একজন ছেলের আত্মকাহিনী
🙇 আমি জাহিদুল ইসলাম।বয়স ১৮।
জীবনের সবচেয়ে বড় আশা সেনাবাহিনী হবো
।দেশের জন্য কিছু করবো।দেশের জন্য
জিবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকবো।সেই
লক্ষে গিয়েছিলাম সেনাবাহিনির মাঠে ।
সব লোকের কাছে শুনি
সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে
কোনো ঘোষ দিতে হয় না।
মাঠে প্রবেশের পর আমাদের সকলকে
লাইনে দাড় করানো হলো।সামনে
সেনাবাহিনী মেজর স্যার বসে
ছিলেন।
মেজর:- আমি জানি এখানে শতকরা
৮০% লোক দালালকে টাকা দিয়ে
এসেছো।কিন্তু আমি তাদের একজনকেও
নিবো না।
মেজর স্যারের কথাটা শুনে খুবই ভালো
লাগলো।মনে সাহস হলো। আমি
উচ্চতা,দৌড় প্রতিযোগিতাতে খুব
ভালোভাবেই টিকে গেলাম।
মনে হচ্ছিলো চাকরিটা হবে।
আমি বাবার কষ্টকে লাঘব করতে পারবো।
আমি চাকরিটা পেলে বাবাকে আর
দিনমজুরের প্ররিশ্রম করতে হবে না।
মাকে গিয়ে জরিয়ে ধরে বলবো,মা
তোমার ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি করে।দেশের জন্য কিছু করতে পারবে।কিন্তু তখনও মেডিকেল বাকি ছিলো।আমি নিজের শরির সম্পর্কে
ভালোভাবে জানতাম।কোনো
অসুখ,রোগ ছিলোনা।
মেডিকেলে ঢুকার আগ মুহুর্তে মেজর
স্যারের কাছে কয়েকটা ফোন আসছিল।
দেখলাম কথা বলতেছে।তারপর কয়েকজন
মেডিকেল অফিস্যারদের ডেকে
নিয়ে মেজর স্যার কি যেনো
বলছিলো।
মেডিকেল অফিসার এসে কয়েকজনের
রোল বলে তাদেরকে নিয়ে আলাদা
রাখলো।
মেডিকেলের সময় একে একে আমার পালা এলো আমাকে চেক করছিলো।কিন্তু একজন অফিসার বললো,
অফিসার:-ঐ তুই আর্মি
কাটিং(চুল) দিছোস কেন?
আমি:- স্যার ,আমি সেনাবাহিনী হতে
চাই।
অফিস্যার:- সেনাবাহিনী হতে
চাস,তো বাবা,মামা,খালু,
জেঠা,কাকা কেউ সেনাবাহিনীর
চাকরি করে?
আমি:- না স্যার।
অফিসার:-কোনো সরকারি চাকরি
করে কেউ?
আমি:- না স্যার।
অফিসার:- বাবা,দাদা মুক্তিযোদ্ধা?
আমি:- না স্যার।
অফিসার:- শালা,কেউ সরকারি
চাকরিই করেনা ,অথচ আসছে
সেনাবাহিনী চাকরি করতে ।চুলের
কাটিং ঠিক মতো দিয়ে আসিস পরের
মাঠে।ঐখানে গিয়ে বসে থাক ।
বিরানি খেয়ে ২টায় চলে যাবি।
আমি তখনই বুজলাম যে আমার চাকরিটা
হচ্ছে না।ওরা আগে থেকেই লোক
নিয়ে রেখেছিলো।যারা টাকা
দিতে পারছে তাদের চাকরি হইছে।
আমার চাকরি না হওয়ার কারন চুলের
কাটিং না ।আমার চাকরিটা না
হওয়ার কারনটা কি জানেন,আমার
টাকা নাই।বাবা দিনমজুর।১০ লাখ
টাকা কই পাবে।আমার বাবা,দাদা
মুক্তিযোদ্ধা না।তারা সরকারি
চাকরি করেনা।
আমাদের বংশে সেনাবাহিনী চাকরি জীবি লোক
নেই।আপনারাই বলেন এটা কি আমার দোষ।
২ টার সময় বিরানি দিলো।তা একেবারে ফ্রিতে না ,আমাদের কাছ থেকে ২০ টাকা করেনিয়ে তারপর
দিলো। খাবারটা খেলাম আর
ভাবলাম,আজ যদি আমার বাবা একজন
সরকারি অফিসার হতো,বাবার লাখ
লাখ টাকা থাকতো,দাদা
মুক্তিযোদ্ধা থাকতো তাহলে আমার
চোখের পানি আজ এইভাবে পড়তোনা।
আমাকে লাইনেও দাড়াতে হতো
না,না হতো কোনো মেডিকেল করতে।
সবার আগে আমার চাকরি হতো।
ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখের
পানিতে খাবার ভিজে
গিয়েছিলো তার খেয়ালই ছিলো না।
এভাবেই হয়তো হাজারো ছেলের স্বপ্ন টা স্বপ্নই থেকে যায় তা কখন আর বাস্তবে রুপান্তর হয় না।
.....................সমাপ্ত........................
Comentarios: