সাহারা মরুভূমিতে জাতিসংঘের মিশন | স্বপ্নের সৈনিক

আজকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের এমন একটি মিশন নিয়ে জানবেন যেখানে বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে আগে পানি কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটা জানতে হবে।

image:জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সুত্র;banglar chokh      
যেখানে বেঁচে থাকার প্রধান উপায়ই হল ওয়াটার সেভিং।
এই কঠিন পরিস্হিতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনীর BANENGR-6।প্রতিজন সেনা সদস্যের জন্য নির্দিষ্ট পানি বরাদ্দ থাকে, এর বাইরে কেউ পানি পাননা। আমরা আপনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে পানির ট্যাপ খোলা রেখে ব্রাশ করতে করতে যেটুকু পানি নষ্ট করি সেই পরিমাণ পানি এখানকার একজন সোলজারের দিনে যতটুকু পান তার অর্ধেক বলতে গেলে।সোলজার-অফিসার প্রতিজনে দৈনিক মাত্র ১৬ লিটার পানি পান। যার মধ্যে খাওয়ার উপযোগী ৬ লিটার এবং বাকি ১০ লিটার গোসল,বাথরুম,কাপড় ধোয়া সহ বাকি দৈনন্দিন কাজের জন্য।এখানে ঠিক মত ১টা দিন গোসল করা সোলজারদের জন্য অলীক স্বপ্ন।
সাহারা মরুভূমির একেবারে গভীরে পৃথিবীর অন্যতম জলহীন স্হানে KIDAL এ পীস কিপিং মিশন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আমরা অনেকেই সাহারা মরুভূমির গল্প বইতে পড়েছি।কিন্তু এখানকার কঠিন বাস্তবতাটা হাড়ে হাড়ে বুঝেন ইউএন পীস কিপারএবং অধিবাসীরা । এই অঞলে সবচেয়ে দামি যে জিনিস তা হল "পানি"। ভূপ্রকৃতিগত কারণে এখানে কোন জলাশয় বা নলকূপের পানির ব্যবস্হা নেই। তাপমাত্রা থাকে গড়ে ৫০° সেলসিয়াস। অতিরিক্ত গরমের কারণে ডিহাইড্রেশন ও নোজ ব্লিডিং এখানে স্বাভাবিক বিষয়। মরুভূমির বালি এতই উত্তপ্ত যে কেউ যদি ১লিটার পানি বালিতে ফেলে তাহলে চোখের পলক ফেলার আগেই মিশে যায়। মেজর ইমতিয়াজ জামানের মতে তিনি গোসল করার সময় তার ময়লা কাপড় চোপড় পায়ের কাছে রাখেন যাতে কাপড় গুলো কোন রকমে ভিজে। প্রায় সেনা সদস্যই একটি বড় গামলা বা পানি ধরে এমন কোন কিছুর মধ্যে গোসল করেন যাতে পানিগুলো পুনরায় ব্যবহার করা যায়। কারণ সব সেনা সদস্যই জানেন এখানে বেঁচে থাকতে হলে জানতে হবে কিভাবে এক ফোঁটা পানিও অপচয় না হয়।
এই কঠিন পরিস্হিতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনীর BANENGR-6।প্রতিজন সেনা সদস্যের জন্য নির্দিষ্ট পানি বরাদ্দ থাকে, এর বাইরে কেউ পানি পাননা। আমরা আপনারা সকালে ঘুম থেকে উঠে পানির ট্যাপ খোলা রেখে ব্রাশ করতে করতে যেটুকু পানি নষ্ট করি সেই পরিমাণ পানি এখানকার একজন সোলজারের দিনে যতটুকু পান তার অর্ধেক বলতে গেলে।সোলজার-অফিসার প্রতিজনে দৈনিক মাত্র ১৬ লিটার পানি পান। যার মধ্যে খাওয়ার উপযোগী ৬ লিটার এবং বাকি ১০ লিটার গোসল,বাথরুম,কাপড় ধোয়া সহ বাকি দৈনন্দিন কাজের জন্য।এখানে ঠিক মত ১টা দিন গোসল করা সোলজারদের জন্য অলীক স্বপ্ন।
বৃষ্টির সময় তারা যতটা সম্ভব পানি সংরক্ষণ করে রাখে এবং বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগায়।এখানে ঝগড়া,খুন, ডাকাতির অন্যতম কারণও হল পানি কেন্দ্রিক। যেখানেই পানির সম্ভাবনা সেখানেই যুদ্ধের সম্ভাবনা। তাই পিস কিপারদের জন্য কয়েকশ মাইল দুর থেকে বহন করে আনা পানির বহরগুলো সবসময় হেভিলি প্রোটেক্টেড রাখা হয়। পানির সাপ্লায় চেইন কোন কারণে বন্ধ হলে তাহলে সাহারা মরুভূমিতেই আটকে পরে মারা যাবে মিশনে নিয়োজিত সবাই।
কিন্তু সেনা সদস্য আতিকুর রহমানের মতে এখানকার স্হানীয় মানুষের তুলনায় পিস কিপাররা অনেক আরামে আছেন,তারা জানেন তাদের জন্য নিয়মিত পানি সরবরাহের ব্যবস্হা আছে।যা স্হানীয়দের জন্য নেই। তিনি জানান আমরা এসব মেনেই এই স্পেশাল মিশনে এসেছি,আমরা স্হানীয় এসব অসহায় মানুষের মধ্যেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পাই।