If you know, you know
আজ ২৪ শে ডিসেম্বর। ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা চলছে। প্রথম ৩ টি পরিক্ষা অনেক কষ্টে কোনোভাবে দিয়েছি। কিন্তু আজকের পরিক্ষাটা আর দেওয়া হলো না। কোন এক অজানা দুশ্চিন্তা আমায় সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করে নিচ্ছে তার সাথে বিভিন্ন ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা ও গত ১৪ই নভেম্বর থেকে একটানা অসুস্থতা তো আছেই । যা কাউকে বলতে পারছি না। যা শুধুই নিজের মধ্যে আটকিয়ে রেখেছি।
বন্ধুবান্ধব, পরিবার সবাই আমায় দেখে ভাবছে আমি স্বাভাবিক আছি। শুধু একমাত্র আমি নিজেই প্রকৃতপক্ষে জানি যে, আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে কেমন আছি। এইসব কারো কাছে শেয়ার করতে পারছি না আর এটা আমি পারিও না। আমার দ্বারা হয়ও না।
আমি ছেলেটা এমন যে আমার খুশিতে সবাইকে খুশি করি কিন্তু আমার দুঃখে কাউকের দুঃখ পেতে দিই না। অর্থাৎ আমি হাসি,খুশি, সুখ সবার মাঝে ভাগ করে দিতে পারি, শুধু দুঃখ, কষ্ট টা দিতে পারি না,আর কাউকে বুঝতেও দিই না।
এই কয়েকদিনে তো অনেকবার ভেবেই নিয়ে ছিলাম যে, লেখাপড়া আর করব না সবকিছু ছেড়ে গ্রামে ফিরে কৃষিকাজ শুরু করব। কারণ আমি আমার অনুপ্রেরণার জিনিস টাকে চিরদিনের জন্য হারিয়েছি। যার জন্য পড়ালেখার প্রতি এতো আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল এখন আর সে নেই।
আবার, পরিবারের কথা ভেবে নিজেকে বোঝালাম যে, আমার জন্য না হলেও, পরিবারের জন্য কিছু করতে হবে। মা হারা ভাগ্নে টাকে মানুষ করতে হবে, তাকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে তার পাশে শক্তভাবে দাড়াতে হবে।
মাঝে মাঝে ভাবি, নিজেকে সেই ব্যাক-বেঞ্চার থেকে পাবিলিকিয়ান বানানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া,ঘুম বাদ দিয়ে কতই না পরিশ্রম করেছি। ইন্টার ফ্রাস্ট ইয়ার থেকে শুরু করে এডমিশন পর্যন্ত নিজেকে অন্যভাবে দেখানোর জন্য কত কঠোর পরিশ্রম করেছি। যার ফল স্বরুপ আজ আমি রাবিয়ান।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, আমি আমার অনুপ্রেরণা কে হারিয়ে সেই আগের মতো ব্যাক-বেঞ্চার হয়ে যাচ্ছি। পড়ালেখার প্রতি অতিমাত্রায় অনিহা তৈরি হয়েছে যার জন্য সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষাটা দিতে পারলাম না।
গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছি যে, নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে, লাইফ-স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে।যার জন্য জীবনে অনেক বড় একটা পরিবর্তন প্রয়োজন। সেই সময়তো তার মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন হয়তো নিজেই নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে।
এইসব লেখার একটাই উদ্দেশ্য নিজেকে নিজের মাধ্যমে হালকা করা, কোনো show off নয়। যদিও এই লেখা কেউ খুজেই পাবে না।
Comentarios: